THE রোমান সাম্রাজ্যের উত্থান ও পতন DIARIES

The রোমান সাম্রাজ্যের উত্থান ও পতন Diaries

The রোমান সাম্রাজ্যের উত্থান ও পতন Diaries

Blog Article

গাউলরা তখন ক্যাপিটলেও তাদের তাণ্ডব চালিয়ে দখল করে নিল আর সেখানে আবির্ভাব হলাে অদ্ভুত এক কাহিনীর। এক রাতে গাউলরা সেখান থেকে পাহাড়ে ওঠার সহজ এবং অপেক্ষাকৃত সরাসরি একটা রাস্তা আবিষ্কার করে ফেলল। রাজ্যের সমস্ত রােমানরা যখন ঘুমিয়ে তখন তারা চুপচাপ সেই রাস্তা ধরে পাহাড়ে উঠতে থাকল। তারা প্রায় উঠে পড়েছে, এমন সময়ে মন্দিরে পালন করা কিছু হাঁস, রাতের get more info বেলা মানুষজন ঘুমিয়ে থাকার সময়ে যাদেরকে ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের জন্য রাখা হতাে, মানুষের পাহাড়ে ওঠার ক্ষীণ শব্দে তারা চেচামেচি আর ছােটাছুটি শুরু করল। মার্কাস ম্যানলিয়াস নামে একজন রােমান, যিনি তার বছর দুয়েক আগে কনসল ছিলেন, হাঁসদের আওয়াজে ঘুম থেকে জেগে উঠলেন। তিনি তার অস্ত্র নিয়ে গাউলদের দিকে প্রথম আঘাত করলেন। আর তার চিৎকারে আশেপাশে আরাে মানুষ জেগে উঠল। সবাই মিলে একযােগে চূড়ায় অনুপ্রবেশকারী গাউলদের প্রতিহত করতে লাগল, বাকিদেরও ডাকতে লাগল। সেই রাতে রােমানরা গাউলদের পরাজিত করতে পারল এবং নগর থেকেই তাড়িয়ে দিল তাদের। সেই আকস্মিক যুদ্ধের সাফল্যের কারণে ম্যানলিয়াসকে উপাধি দেয়া হলাে ক্যাপিটোলিনাস।

এখানে একটি ব্যাপার উল্লেখ্য। পবিত্র কুরআনে “রুম” হিসাবে যাদের আখ্যায়িত করা হয়েছে, তারা মূলত বর্তমান তুরস্কের বাসিন্দা বাইজান্টাইন, তাদের রাজধানী ছিল কন্সটানটিনোপোলে। অর্থাৎ ভৌগলিক রোম নয়, “রুম” বা “রুমি” হিসাবে ইসলামী পরিভাষায় যাদের বোঝানো তারা আসলে কনিয়া, আনাতোলিয়া অর্থাৎ বর্তমান তুরস্কে বাস করা বাইজান্টাইন। এ ধারা অব্যাহত থাকে পরবর্তীত শতকগুলোতেও। যেমন দ্বাদশ শতকের প্রখ্যাত কবি ও সুফি সাধক মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি ছিলেন বর্তমান তুরস্কের কনিয়ার অধিবাসী। তাই তিনি মাওলানা-এ-রুম বা রুমি নামেই পরিচিত হন।

রোমের পত্তনের প্রথম দেড় শতাব্দী ও সাতজন রাজা

স্বর্ণশিখরে থাকাকালে আটলান্টিক সমুদ্র থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যে ইউফ্রেতিস নদী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো রোমান সাম্রাজ্যের সীমানা। কিন্তু এই বৃহৎ আকারই আসলে এর পতনের পেছনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। এত বড় রাজ্যের প্রশাসনিক কার্যক্রম সঠিকভাবে চালানো ছিলো আসলেই বেশ দুরুহ এক কাজ।

তদকালীন রোমান সমাজের আদর্শ এবং ধর্মীয় প্রথা 

উসমানীয় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রথম উসমানের দ্বারা। ১৪৫৩ সালে সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ যখন কনস্টান্টিনোপল জয় করেন তখন রাষ্ট্রটি একটি শক্তিশালী সাম্রাজ্যে পরিণত হয়। ১৬শ শতাব্দীতে সুলতান প্রথম সেলিম এর কাছে আব্বাসীয় খলিফা কর্তৃক ইসলামী খেলাফত হস্তান্তর করা হয় শুরু হয় উসমানীয় খেলাফত এবং তার পরে তার ছেলে সুলতান প্রথম সুলাইমানের অধীনে সাম্রাজ্যটি সমৃদ্ধির চূড়ায় পৌছেছিল, তখন এর সীমানা ছিল পূর্বে পারস্য উপসাগর থেকে ইউরোপের বলকান অঞ্চল, উত্তর-পূর্বে হাঙ্গেরি, উত্তর কৃষ্ণ সাগর রাশিয়া,ককেসাস, পশ্চিমে ইরান,মধ্যপ্রাচ্য ইরাক, সিরিয়া, ফিলিস্তিন,লেবানন, জর্ডান, মক্কা, মদিনা এবং দক্ষিণে মিশর থেকে উত্তর আফ্রিকা পর্যন্ত। এই সাম্রাজ্যের পতন ঘটে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মাধ্যমে মিত্রশক্তির ও ব্রিটিশদের মিত্র আরব জাতীয়তাবাদী বিদ্রোহীদের কাছে পরাজয়ের মাধ্যমে। ১৯২২ সালে তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধের ফলে গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলি উসমানীয় সাম্রাজ্য ও ইসলামী খেলাফত বিলুপ্ত ঘোষণা করে।

এর সূত্র ধরে তৎকালীন অনেক ঐতিহাসিক, যেমন- লিভি, মিথোলজিকাল কাহিনীর অবতারণা করেন। তারা ছাড়াও সমসাময়িক গ্রীক ঐতিহাসিকরাও রোম প্রতিষ্ঠার মিথ বর্ণনা করেছিলেন। এরকম প্রায় পঁচিশটির মতো মিথ রয়েছে। তবে রোমানরা রেমুস ও রোমুলাস নামে দুই যমজ ভাইয়ের হাত ধরে রোম নগর প্রতিষ্ঠা হয় বলে বিশ্বাস করত, এবং তাদের ধর্মীয় আচারেও সেটার প্রতিফলন ঘটাত। অনেক আধুনিক ঐতিহাসিকের মতে, রোমের অধিবাসীরা শহরের নাম থেকে এর প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম রাজার নাম দেয় রোমুলাস, যা ল্যাটিনে রোম উচ্চারণের খুব কাছাকাছি। নিকটবর্তী রেমারিয়া নামে আরেকটি ছোট শহর ছিল, যার প্রথম রাজা ছিলেন রেমুস। কিছু আধুনিক ঐতিহাসিক বিশ্বাস করেন- রোমানরা এদেরকেই দুই যমজ ভাই হিসেবে দাবি করে।

আফ্রিকায় গাইজারিকের অধীনে ভ্যান্ডাল জাতি : আফ্রিকায় গাইজারিক তখনও শাসন করছিলেন। ৪৭৭ খ্রিস্টাব্দের আগে তিনি মৃত্যুবরণ করেননি। সে সময় তিনি সাতাশি বছর বয়সে পৌঁছে গেছেন। তিনি আফ্রিকায় অর্ধ শতাব্দী ধরে শাসন করেছিলেন এবং সবসময় জয়ের মুখই দেখেছেন। সে পর্যন্ত যত অসভ্য জাতির যত নেতা রােমান সাম্রাজ্যকে দখল করে নিতে চেয়েছেন, গাইজারিক ছিলেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সবচেয়ে সফল।

প্যাগান সাহিত্য ও দর্শনের সমাপ্তি, খ্রিস্টীয় ল্যাটিন সাহিত্যের বিকাশ, এবং খ্রিস্টীয় সন্ন্যাসবাদের উদ্ভব

নুমিটর ও অ্যামুলিয়াসের দ্বন্দ্ব: প্রকাস মারা যাওয়ার পর প্রথমে নুমিটর রাজা হলেও শীঘ্রই অ্যামুলিয়াস তাকে উৎখাত করেন। পরাজিত ও হতাশ নুমিটর পাহাড়ে ঘেরা তার নিজস্ব এলাকায় পালিয়ে যান। অ্যামুলিয়াস নুমিটরের ছেলেকে হত্যা করেন ও তার কন্যা রিয়া সিলভিয়াকে দেবী ভেস্টার পৌরহিত্যে বাধ্য করেন। দেবী ভেস্টার সেবক হিসেবে রিয়া সিলভিয়া কুমারী থাকার শপথ নেন, ফলে তার দিক থেকে নুমিটরের বংশে উত্তরাধিকারী আসার সম্ভাবনা রহিত হয়ে যায়।

ইতালিতে অন্যান্য জাতির প্রবেশ ও তদকালীন রোম

এভাবে ক্রমাগত রাজনৈতিক অস্থিরতা জনগণকে তাদের নেতাদের উপর থেকে ভরসা হারিয়ে ফেলতে বাধ্য করেছিলো।

” এর অনুবাদ করলে দাঁড়ায়: “ধীর হও প্রিয় আত্মা,/ নশ্বর এ শরীরের অতিথি, সঙ্গী আমার,/ এবারে কোথায় যাও ছুটে?/ দুর্বল, শীতল আর নগ্ন তুমি,/ শান্তি বিলানােই কি তােমার লক্ষ্য নয়?” অ্যান্টোনিনাস পায়াস (রা. ১৩৮ – ১৬১ খ্রি.)

আগেই বলা হয়েছিল যে, রোম কোনো একক জাতিগোষ্ঠীর আবাস ছিল না, বরং ভিন্ন ভিন্ন জাতি মিলে নতুনভাবে তৈরি করেছিল রোমান সভ্যতা। এখনকার সময় আমরা জানি, প্রায় সব বড় বড় সভ্যতাই এভাবে সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ওই সময়ে বড় সভ্যতাগুলো, যেমন- গ্রীক সভ্যতা, তাদের একক জাতি হিসেবে অভ্যুদয়ের কাহিনী জাহির করত এবং তাদের দেবতাদের নানাভাবে এই গল্পে জড়িত করত। এর মাধ্যমে তারা বোঝাতে চাইত যে, জাতি হিসেবে তারা দেবতাদের আশীর্বাদধন্য এবং তাদের আভিজাত্য জন্মসূত্রে প্রাপ্ত। রোমানরা প্রথমদিকে তাদের মিশ্র জাতসত্ত্বার জন্য তাই অনেক বিদ্রুপ হজম করেছিল। এ কারণে রোম যখন নগণ্য একটি শহর থেকে শক্তিশালী একটি রাজ্যে পরিবর্তিত হতে শুরু করে তখন এর অধিবাসীরাও কোনো সম্ভ্রান্ত জাতি বা রাজবংশের সাথে নিজেদের যোগসূত্র স্থাপন করতে হন্যে হয়ে ওঠে, যার দ্বারা তারা তাদের মর্যাদা ও ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারবে।

Report this page